Saturday , May 18 2024
Breaking News

ফেনীতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, সহকারি অধ্যাপক বহিষ্কার

নিউজ ডেস্কঃ

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ফেনীতে এক সহকারি অধ্যাপককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষনাসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিবো’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন।

৫০ লাইনের ওই স্ট্যাটাসের শেষভাগে তিনি লিখেছিলেন ‘ইসলাম ধর্ম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম’ । অপর লাইনে লিখেন,  ধর্মের ভুল ধরলে শুধু মাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর।

শেষ লাইনে তিনি লিখেন, ‘সকলে আদম হাওয়া থেকে  এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’। এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ফুঁসে উঠে ঐ কলেজের শিক্ষার্থীসহ তার আইডিতে যুক্ত থাকা ফলোয়াররা।

এর পর মঙ্গলবার (২৭ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে যাওয়ার খবর শুনে ঐ কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশেপাশের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণ শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে তার শাস্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবেনা।

পরবর্তীতর কলেজের অধ্যক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে, কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে অভিযুক্ত ঐ  শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, মুঠো ফোনটি বাসায় রেখে গেলে কে-বা কারা আমার আইডি থেকে আপত্তিকর একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়। আমার নজরে পড়লে আমি স্ট্যাটাসটি ডিলেট করে দেই।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহাম্মাদ মহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল প্রতিকূল পরিস্থিতি মুখে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের  আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত, কলেজ আঙ্গিনায় প্রবেশ নিষেধসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কলেজের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অভিযোগ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

About admin

Check Also

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ কিশোরগঞ্জে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জেলায় গড় পাসের হার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *