নিউজ ডেস্কঃ
আগামী দুই মাসের মধ্যে জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে চায় সরকার। হরিপুর ১০ নম্বর কূপ পরিদর্শন শেষে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, এই সময়ে পুরো মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে, পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এর আগে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ পরিদর্শন শেষে বলেন, মাস দুয়েকের মধ্যে এখান থেকেও বাড়তি গ্যাস মিলবে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে।
চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোপেকের খননযন্ত্র বা রিগটি এখন খানিকটা বিশ্রামে। তবে মাস কয়েকের নিরলস চেষ্টা আর দিনরাত্রির ব্যস্ততায় হরিপুর-১০ নম্বর কূপে নিশ্চিত হওয়া গেছে জ্বালানি তেলের মজুদ।
দেশে এমন মজুদের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা দ্বিতীয়বারের মতো। মাটির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার গভীরে, যার প্রবাহ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ ব্যারেল হারে। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, মাস দুয়েকের মধ্যে মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে বাণিজ্যিক উৎপাদনের।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যে প্রেশারে তেল উঠছে, তা ডেফিনেট (স্পষ্ট) হওয়ার জন্য দুই মাস সময় লাগবে। তারপর আমরা বিস্তারিত বলতে পারবো। এখন কেউ বলছে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল, কেউ বলছে ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল গ্যাস হতে পারে। আমরা সাইন্টিফিক (বৈজ্ঞানিক) ব্যাখ্যায় যেতে চাই।
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের আরেক সম্ভাবনাময় উৎস ৮ নম্বর কূপেও খননকাজ চলছে জোর গতিতে। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে চলা বিজয়-১২ রিগ দিয়ে এই কূপে খনন শেষ হলে, বাড়তি গ্যাস মিলতে পারে দেড় টিসিএফের ওপরে। ফলে এই ক্ষেত্রের পুরো মজুদ দাঁড়াবে সাড়ে ৪ টিসিএফের বেশি। সাড়ে ৩ হাজার মিটার খননের লক্ষ্যে কাজ করা এই প্রকল্প এরই মধ্যে শেষ হয়েছে অর্ধেকের ওপরে। প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী মাস চারেুকের মধ্যে এই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে।
তিনি বলেন, কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে প্রায় ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এখনও রিজার্ভ রয়ে গেছে। আমরা আশাবাদী এই ড্রিলিংটা শেষ হলে আগামী দুই মাস এবং পরবর্তী দুই মাস তথা চার মাসের মধ্যে আরও ২১ টিসিএফ গ্যাস আমরা পাইপলাইনে দিতে পারবো।
এর আগে জালালাবাদ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় নসরুল হামিদ বলেন, আগামী বছর চারেকের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ গ্রাহককে আনা হবে প্রিপেইড মিটারের আওতায়।
সূএঃ চ্যানেল ২৪