নিউজ ডেস্কঃ
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে হাতে স্মার্টফোন নেই বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ হয়তো নেই। ব্যস্ততম জীবনে ফোনের গুরুত্বও বেড়েছে অনেক। অফিশিয়াল বিভিন্ন ডকুমেন্টস আদান-প্রদান, অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস, সহজেই যোগাযোগ ধরে রাখার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় স্মার্টফোন। কিন্তু প্রয়োজনীয় এই বস্তুর চার্জ হতে যখন দীর্ঘ সময় লাগে, তখন বিরক্ত হন অনেকে।
কেউ কেউ প্রয়োজন ব্যধে দিনে দুবার ফোন চার্জ করেন। কিন্তু কোনো কারণে যদি মাঝামাঝি সময় বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় ফোনের চার্জ শেষ হয়, তাহলে অনেকেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তবে ফোন যদি দ্রুত চার্জ হয়, তাহলে কিন্তু এসব সমস্যা পোহাতে হয় না। যদিও বর্তমানে অধিকাংশ ফোন ইউএসবি-সি পোর্ট দিয়ে চার্জ করা হয় এবং এতে সময় অনেক কম লাগে। কিন্তু ফোন চার্জে বসিয়ে তাতে কাজ করা কিন্তু মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যের নয়। আর এ অবস্থায় যদি আরও দ্রুত অ্যানড্রয়েড ফোন চার্জ করা যায়, তাহলে কিন্তু ভালো হয়। এবার তাহলে তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মেক ইউজ অব থেকে জেনে নেয়া যাক।
১ এয়ারপ্লেন মোড অন করা: ফোনের চার্জ কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল। সিগন্যাল যদি খারাপ হয়, তাহলে চার্জ দ্রুত শেষ হবে। ফোন চার্জের সময় সিগন্যাল দুর্বল থাকলে ব্যাটারির শক্তি বেশি খরচ হয়। তাই অল্প সময়ে ফোন চার্জ করতে হলে চার্জে বসানোর সময় ফোনকে এয়ারপ্লেন মোডে রাখা উচিত। এতে ২৫ শতাংশ কম সময়ে ফোন চার্জ হয়। এয়ারপ্লেন মোড চালু করতে ফোনের নোটিফিকেশন বার নিচের দিকে টেনে এয়ারপ্লেন মোড আইকনে ট্যাপ করুন। অথবা ফোনের সেটিংস > নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইন্টারনেট > এয়ারপ্লেন মোডে ক্লিক করেও সেট করতে পারেন। আর চার্জ হয়ে গেলে একই প্রক্রিয়ায় এয়ারপ্লেন মোড বন্ধ করুন।
২. ফোন বন্ধ রাখা: ফোন চার্জ করার সময় বন্ধ করে চার্জে বসালে দ্রুত সময়ে ব্যাটারি চার্জ হয়। এতে ফোন চার্জ হওয়ার সময় ব্যাটারি থেকে কোনো শক্তি ক্ষয় হয় না। এর অবশ্য কিছু নেতিবাচক বিষয়ও রয়েছে। ওই সময় জরুরি কেউ আপনাকে ফোন করলে তাৎক্ষণিক পাবে না।
৩. চার্জে দিয়ে ফোন ব্যবহার না করা: ফোন চার্জে বসিয়ে অনেকেই গেম খেলেন, মিউজিক ভিডিও দেখেন কিংবা অন্যসব কাজ করেন। এতে চার্জিংয়ের গতি কমে যায়। একই সঙ্গে ব্যাটারির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফোন দ্রুত চার্জ হতে হলে চার্জিংয়ের সময় ব্যবহার না করাই ভালো।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ডের রানিং অ্যাপ-ফিচার বন্ধ রাখা: ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসিং অ্যাপ যদি ব্যবহার না করাও হয়, তারপরও ফোনের ব্যাটারি ব্যবহার হতে থাকে। সরাসরি ব্যবহার হচ্ছে না এমন অ্যাপের মাধ্যমেও ফোনের চার্জ হতে সময় লাগে। তাই ফোন দ্রুত চার্জ করাতে চাইলে ফোনের লোকেশন, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো ফিচারগুলো বন্ধ রাখুন। এতে অল্প সময়ের মধ্যে ফোন চার্জ করতে পারবেন।
৬. পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার: বাসা-বাড়ি কিংবা অফিসের বাইরে প্রয়োজনের সময় ফোন চার্জ শেষ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সময় সঙ্গে পাওয়ার ব্যাংক থাকলে ফোন চার্জ করা সহজ হয়। এ জন্য ফোনের চার্জিং ক্যাপাসিটি অনুযায়ী একটি পাওয়ার ব্যাংক এবং ক্যাবল সঙ্গে রাখুন। এতে প্রয়োজনে অল্প সময়ের মধ্যে ফোন চার্জ করে নিতে পারবেন।
৭. ওয়ারলেস চার্জিং ব্যবহার না করা: কোনো ক্যাবল ছাড়া বা কম ক্যাবলে ফোন চার্জ করার দারুণ একটি সুযোগ হচ্ছে ওয়ারলেস চার্জিং সিস্টেম ব্যবহার করা। কিন্তু আপনি যদি অল্প সময়ে ফোন চার্জ করতে চান তাহলে ওয়ারলেস চার্জিং এড়িয়ে চলুন। ভালো মানের ক্যাবল দিয়ে ফোন চার্জ করলে অন্তত ৫০ শতাংশ কম সময়ে ফোন চার্জ করে নিতে পারবেন।