নিজেস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জের আলোচিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ৭ কোটি ৭৮লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। যা পূর্বের সকল রেকর্ড কে ছাড়িয়ে গেছে। দীর্ঘ সারে ১৮ঘন্টার কর্মযজ্ঞে শেষ হয় এবারের টাকা গননার কাজ।
এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনমাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ টি বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। যা তৎকালীন পাওয়ার সবচাইতে বেশি দানের অর্থ। তবে এবার রমজানের কারণে সময় বেশি নিয়ে চার মাস দশ দিন পর খোলা হল। যেখানে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। সকাল সাড়ে সাতটায় পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার রাসেল শেখ এর নেতৃত্বে মসজিদের নয়টি দানসিন্ধুক খোলা হয়। সেখানকার টাকাগুলো করতে প্রয়োজন হয় ২৭ টি বস্তা।
জেলা শহরের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে নয়টি দানবাক্স আছে। প্রতি তিন মাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার এবার খোলা হয়েছে ৪ মাস ১০ দিন পর।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল সারে সাতটার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নয়টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। নয়টি দানবাক্সে এবার যে টাকা পাওয়া গেছে তা পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।’
এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।